বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ইমামদের নিয়ে একটি বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগম মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে এই নায়ককে কিছু ইমামদের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের মুখে পড়েন জায়েদ খান। তাকে নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠে একদল মানুষ। এমনকি বয়কটের ডাকও আসে অভিনেতার বিরুদ্ধে।
বিষয়গুলো জটিল হওয়ার আগেই নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন জায়েদ। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, একটি ভিডিওর কিছু অংশ কেটে তা ছড়িয়ে দিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জায়েদ বলেন, আমি মূলত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীতে যে কিছু কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে সেই কথা বলেছি। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইমাম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে পত্রিকায়, যারা বলাৎকারের মতো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বলেছি। জায়েদ খানের দাবি, একজন প্রশ্ন করেছিল আমায় যে আসলে কথাটা ছিল জায়েদ ভাই, আপনার এতো গুলো প্রেম, এতো গুজব এসব কেমন লাগে? আমি বলেছিলাম, নায়ক বলেই তো গুজব ছড়ায়। নায়ক হয়ে যদি গুজব না ছড়ায় তাহলে মসজিদের যারা ইমাম আছে তাদের মতো টুপি দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। ভদ্র নম্র হয়ে জীবনযাপন করতে হবে, বাসায় থাকতে হবে।
ইমামদের উদ্দেশে এই নায়ক বলেন, সকল ইমামদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আপনারা কেউ ওয়াজে গিয়ে আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা দেবেন না। আমি এ ধরণের কোনো কথাই বলিনি। আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি একজন মুসলমানের সন্তান। আমার বাবা একজন হাজী মানুষ। আমি ইসলাম বিশ্বাস করি, নামাজকে বিশ্বাস করি, মুসলমানদের বিশ্বাস করি। ইমাম,আলেমরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সম্মানিত ব্যক্তি। আমি সবাইকে বলিনি, কয়েকজনকে বলেছি যারা শিশু বলাৎকার করে। তারপরও আমার কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, জায়েদ খান ২০০৮ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে তার কর্মজীবন শুরু করেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মহম্মদ হান্নান। এ সিনেমায় তার সঙ্গে অভিনয় করেন রিয়াজ ও শাবনূর। পরে ২০০৯ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কাজের মানুষ’ ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘মন ছুঁয়েছে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত এফ আই মানিক পরিচালিত ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মায়ের চোখ’ ও ‘রিকশাওয়ালার ছেলে’।
Leave a Reply