স্টাফ রিপোর্টার : সাভারে বিয়ে বিচ্ছেদের পরেও টিকটকার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতন, বাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী আমজাদ হোসেন।
রবিবার (২ মে) বিকেলে সাভারের থানা রোডের লন্ডনাস রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী আমজাদ হোসেন। এসময় তার ৮ বছর বয়সী ছেলে মায়ের নানা কুকর্মের কথা তুলে ধরে।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী প্রবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি ২০১২ সালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের খানপাড়া এলাকার সোহেল ওরফে টাই সোহেলের মেয়ে সোনিয়াকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাভারের ব্যাংক কলোনীর পৈত্রিক জমিতে তিনি একটি তিনতলা বাড়ি নির্মান করেন। পাশাপাশি স্টেশনারী ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে করোনার সময়ে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমজাদ হোসেনকে জোরপূর্বক বিদেশে পাঠায় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি বিদেশে গেলে স্ত্রী সোনিয়া আক্তার টিকটকসহ পরকিয়ায় জড়িয়ে পরেন। দুই থেকে তিন বার তিনি পরকিয়া প্রেমিকের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান, ঘুরতে যান কক্সবাজার। এসব কুকর্ম জানার পর স্ত্রী সোকিয়াকে তালাক দেন আমজাদ হোসেন। বিচ্ছেদের ৫ মাস পরে আমজাদ দেশে ফিরলে তার বিরুদ্ধে করা হয় মিথ্যে মামলা। বর্তমানে সাবেক স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ির তিন তলা দখল করে গোটা বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, শুধু নারী নির্যাতনের বিচার হয়, পুরুষ নির্যাতনের বিচার নেই। আমার প্রতি এই অবিচারের বিচার চাই। ভুক্তভোগীর ৮ বছরের ছেলে ওয়ালিদ বিন শায়ান বলে, আমার মা আমাকে খুব মারধর করে বাথ রুমে আটকে রাখতো। বাসায় বিভিন্ন লোকজন নিয়ে সিগারেট আর কাপে পানি খেতো। আমার মা নিজেই ব্লেড দিয়ে হাত কেটে লবন লাগিয়েছে আমার সামনে। তিনি বিভিন্ন সময় লোকজন বাসায় আনতো। কখনো কখনো আমাকে বাথরুমে আটকে রাখতো।
প্রবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, আমার সাবেক স্ত্রী আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার বাড়ি দখল করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার কাছে ৪ টি ফ্ল্যাট লিখে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। নিজেই নিজের হাত কেটে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আরও মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রবাসে থাকাকালিন সময়ে সমস্ত টাকা সোনিয়ার একাউন্টে পাঠিয়েছি। এছাড়া একটা ঋণ করে বিদেশে গিয়েছিলাম তার কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। সব কিছু আত্মসাৎ করেছে। আমি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, বাড়ি দখল, আমি ও আমার ৮ বছরের সন্তানকে মানুষিক নির্যাতন করার বিচার চাই।
এসময় সাভার ও আশুলিয়ার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply