সংবাদ প্রবাহ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামীকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অপরদিকে, নির্বাচন বর্জনে সারাদেশেই চলছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোটের আগের দিন সকাল থেকে অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট।রাস্তায় নেই গাড়ির চাপ। গণপরিবহন যেমন বাস, সিএনজি, রিকশা ও হাতেগোনা কিছু প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেখা যায়। মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাস্তায় নেই কোনো ব্যক্তিগত বা রাইডশেয়ারিংয়ের মোরটসাইকেল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড, বাড্ডা, রামপুরা, সায়দাবাদ, মুগদা এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র। একদিকে নানান উৎকণ্ঠার নির্বাচনের ভোটের আগের দিন ও বড় দল বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল, এছাড়াও শনিবার সরকারি ছুটির দিন। সব মিলিয়ে ঢাকার রাস্তায় নেই গাড়ির কোনো চাপ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকায় অনেক চাকরিজীবী মানুষকে বের হতে দেখা যায়। তবে চলাচলে মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার কথা ভেবে রাজধানীতে আজ থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ মোটরসাইকেল চলাচল। এই নির্দেশনায় প্রতিদিন রাস্তা মোটরসাইকেলে পরিপূর্ণ থাকলেও সকাল থেকে চোখে পড়েনি।গুলশানে একটি ইলেকট্রনিক কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার হামিমের জানান, আগামীকাল ভোট হলেও আমাদের আজও অফিস করতে হচ্ছে। তাই সকাল সকাল অফিসেই যাচ্ছি। তবে ভয় লাগছে কখন কি ধরনের সমস্যা হয়। চলছে কিছু দূরপাল্লার বাস। ঢাকা থেকে ফেনী চলাচল করা স্টার লাইন কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, সকাল থেকে কয়েকটি বাস আসা যাওয়া করছে। মানিকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুক্ষণ পরপর বাস ছাড়ছে। যাত্রী কম থাকায় আজ অন্য দিনের তুলনায় কম বাস আসা যাওয়া করছে।গাউসুল আজম বেসরকারি মেডিকেলর নার্স হিসেবে কাজ করছেন। তিনি জানান, ট্রেনের আগুনের ঘটনায় অনেক বেশি ভয় পেয়েছি। ভাবছিলাম আজ বের হবো না। অফিস ছুটি দেয়নি, বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। ভয় লাগে রাস্তাঘাটে কখন কে আবার দুর্ঘটনায় ফেলে।তিনি জানান, অন্যান্য হরতালের সময় বাইকে ভাড়ায় চলে যেতাম। কিন্তু এখন তো মোটরসাইকেলও বন্ধ। বাসে উঠতে আরও বেশি ভয় লাগে।
Leave a Reply