সংবাদ প্রবাহ ডেস্ক : শূন্য হাতে ২৩ দল, আওয়ামী লীগ ২২৩, স্বতন্ত্র ৬১, জাপা ১১, জাসদ ১, বাংলাদেশের কল্যাণ পার্টি ১ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্সা পার্টি ১ আসনে জয়ী। গতকাল আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, এবারের নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এবার জেনে নিন কোন আসনে কে জয়ী-
গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৯ ভোট। এর বিপরীতেব তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী কাবির মিয়া পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫৩০ ভোট। আসনটিতে কর্নেল (অব.) ফারুক খান তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১১ হাজার ৭৬৯ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ ভোট।
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১০৮। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শেখ হাসিনা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
সিলেট-১ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের ড. এ কে আবদুল মোমেন। ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৪৯।
সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। ভোট পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৪০৫টি।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৯,৭৬৮ ভোট।
সিলেট-৪ সংসদীয় আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান আহমদ। আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ৬৯২৫টি।
সিলেট-৫ আসনে জিতে এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী। কেটলি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৭,১৫১ ভোট।
সিলেট-৬ সংসদীয় আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ জয় পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৫৮,১২৬টি।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী রঞ্জিত চন্দ্র সরকার ১ লাখ ৯৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলী প্রতীকে ৪৯ হাজার ৯৪১ ভোট ও ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদ ৪৩ হাজার ৭১০ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ -২ আসনে কাঁচি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্ত। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নৌকা প্রতীকে ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ভোট।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে নৌকা প্রতীকে এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মুহিবুর রহমান মানিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৯১ হাজার ৮৮৮টি ভোট।
মেহেরপুর-১ আসনে বেসরকারি ফলাফল জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৭৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫০৪ ভোট।
মেহেরপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম নাজমুল হক সাগর । তিনি ৭২৭২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫৯৩ ভোট।
খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত রায় পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬২ ভোট। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন ৯৯ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
খুলনা-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম কামাল হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৩ ভোট।
খুলনা-৪ আসনের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৬৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৩৯ ভোট।
খুলনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৫০ ভোট।
খুলনা-৬ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামান। তিনি এক লাখ ৩ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৬১ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে বড় ভাইকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সৈয়দ জাকির নূর লিপি। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭৬২ ভোট। লিপির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৯৮ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে নৌকাকে ডুবিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮৯ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মুজিবুল হক চুন্নু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির দলীয় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়য়হাব পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের ফলাফলে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯০১ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের হাজি রুবেল তিন হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের নুরুল কাদের সোহেল পেয়েছেন তিন হাজার ৫৬ ও স্বতন্ত্র আব্দুস সাত্তার (ঈগল) পেয়েছেন দুই হাজার ৪৬৯ ভোট।
বাগেরহাটের চারটি আসনের সবকটিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের শেখ হেলাল উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষপুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তিনি ২ লাখ ৯ হাজার ৯৩৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ২১০ ভোট।
বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সারহান নাসের (তন্ময়) বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৪ ভোট।
বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। এ আসন থেকে তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।
বাগেরহাট-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান। আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩ ভোট। যদিও ভোট চলাকালেই নানান অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছিলেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামিল হোসাইন।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৮০২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই সরকার। তিনি পেয়েছেন ৫৯৭৫৬ ভোট।
কুড়িগ্রাম-২ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ডা. মো. হামিদুল হক খন্দকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬৯৪৮ ভোট।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌমেন্দ্র সেন গবা পান্ডে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৫৩৩৬৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. আক্কাস আলী ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন ৩৫৫১৫ ভোট।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৬৬৫৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২৬৮৪ ভোট। দুপুরের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন তিনি।
ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালমা ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. কামরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মনির সরকার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।
ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন মোট ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫টি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।
ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। সজলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনর রশিদ মুন্না নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিজের দলেরই স্বতন্ত্রপ্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লার কাছে ২৯৭ ভোটে হেরেছেন মুন্না।
ঢাকা-৬ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে মোট ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী রবিউল আলম মজুমদার মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট।
ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলায়মান সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।
ঢাকা-৮ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জুবের আলম খান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮০ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫০ জন। ভোটকেন্দ্র ১১০টি। মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৪৯ হাজার ৫৬২টি। ভোটদানের হার ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।
ঢাকা-৯ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৯৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ফেরদৌস মোট ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
ঢাকা-১১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াকিল উদ্দিন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম আহমেদ (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।
ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২১৯ ভোট।
ঢাকা-১৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৭৫টি। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা তিন লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৫টি। এ আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী কামরুল হাসান ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৫২৯টি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর ইকবাল নান্টু মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১৫৯ ভোট। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ এর প্রার্থী জাহাঙ্গীর কামাল টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৮৯টি।
ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমান কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট। এই আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির আলমাস উদ্দিন ৯৮৬ ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আকতার তুহিন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার জয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৩২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল হক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
ঢাকা-১৬ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। এ আসলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৬৩১টি। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন পেয়েছেন ছয় হাজার ৩১৪ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমানত হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৩৪৮ ভোট।
ঢাকা-১৭ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর মো. আইনুল হক কুলা প্রতীকে ১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৮ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী। তিনি কেটলি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। এ আসনে প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ টি। এর ফলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ঢাকা-১৯ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওই আসনের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ডা. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট।
ঢাকা-২০ আসনে (ধামরাই) নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৭০৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩টি।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে ভোটের লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন ওই আসনের বর্তমান এমপি ও পপ সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ওই আসনে মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মমতাজ বেগম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব তরমুজ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬২৫১ ভোট। চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই। ওই আসনে জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।
চট্টগ্রাম ১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা প্রতীকে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯৫৩৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব ঈগল প্রতীকে ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। এর মাধ্যমে এবার আসনটি হাতছাড়া হলো নৌকার।
কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট।
কক্সবাজার-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি ৯৭ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোঙর প্রতীকের মো. শরীফ বাদশা পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৯৬ ভোট।
কক্সবাজার-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সাইমুম সরওয়ার কমল ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৪৬ ভোট।
কক্সবাজার-৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শাহীন আক্তার ১ লাখ ২৫ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল বশর পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯২৯ ভোট।
নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহীম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ২৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের এ কে এম সেলিম ভুঁইয়া (ফুলের মালা) পেয়েছেন দুই হাজার ৮১৯ ভোট।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট।
নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট।
নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৭৩ ভোট।
নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক লাখ ৮১ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী খাজা তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল) পেয়েছেন নয় হাজার ৭০২ ভোট, জাসদের প্রার্থী মকছুদের রহমান (মশাল) পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ ভোট, ছড়ি প্রতীকে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরীও পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ ভোট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা (চেয়ার) পেয়েছেন এক হাজার ৪৯৩ ভোট।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীক ৫৭৩৪ ভোট এবং জাসদের সাইফুল ইসলাম মশাল প্রতীক ৩৮৪৬ ভোট।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীক এম. ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপু মনি পেয়েছেন ১লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ঈগল প্রতীকে মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিন ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৫ ভোট।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসতে পারেননি অন্য কোনো প্রার্থী। অন্য ৫ প্রার্থী সবাই মিলে যেখানে পেয়েছেন ১১ হাজার ৪০১ ভোট, সেখানে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ একাই পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৯ ভোট।
রাজশাহী-৫ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারা। তিনি ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট।
রাজশাহী-৬ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার আলম। তিনি ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক। তিনি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদর একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জহুরুল ইসলাম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ড. জান্নাত আরা হেনরী ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম ঝন্টু লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাখাওয়াত হোসেন সুইট ঈগল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-আংশিক সলঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিল্টন প্রামাণিক লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-এনায়েতপুর-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত শিল্পপতি আব্দুল মমিন মণ্ডল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চয়ন ইসলাম ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হালিমুল হক মীরু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট।
লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহার হোসেন ৮৯ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩২ ভোট পান।
লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সিরাজুল হক পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫০০ ভোট।
লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমান পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০ ভোট।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। ফলাফলে দেখা যায়, রমেশ চন্দ্র সেন ২ লাখ ৫৩ হাজার ১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯ শ ৪০ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম সুজন। মোট ১০৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাজহারুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২শ ৩৪ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। হাফিজ উদ্দিন পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ৫১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৪ ভোট।
সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। তিনি ৭৯ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭০৯ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল,গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহ. জিয়াউর রহমান। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৪৫ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দল ওদুদ। তিনি ৯১ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম মনোনীত নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ ভোট।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৬৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৬ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্র ১৭৭টি।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মো. আব্দুল মজিদ খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫০টি।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-শায়েস্তাগঞ্জ-লাখাই) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ ভোট।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঈগল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট। অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত রয়েছে।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।
নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন। তিনি ট্রাক প্রতীকে ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।
মাদারীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মোতাহার হোসেন চৌধুরী সিদ্দিক পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮২৬ ভোট।
মাদারীপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাজাহান খান। তিনি ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম নুরুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট।
মাদারীপুর-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট।
ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ১ লাখ ৭১ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮৬ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন ১ হাজার ৬৫৩ ভোট ও কংগ্রেস প্রার্থী ডাব প্রতীক নিয়ে মোঃ আলমগীর পেয়েছেন ১ হাজার ৫১১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে জয়ী হয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯১ ভোট। একরামুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের মঈন উদ্দিন। তিনি ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কেচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীন খান পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও রংপুর সিটির ১ থেকে ৮ নং ওয়ার্ড) আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং এইচএম এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। রাঙ্গার চেয়ে তিনগুণ এবং আসিফের চেয়ে সাতগুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাবলু।
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫৯৯ ভোট। এ নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৮৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টির আনিছুল ইসলাম মণ্ডল পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৪০ ভোট।
রংপুর-৩ (সদর ) আসনের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। লাঙ্গল প্রতীকের এ হেভিওয়েট প্রার্থী ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট। মোট ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।
রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ৬২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬৭১ ভোট।
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার এক লাখ ৯ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের রাশেক রহমান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৯০ ভোট।
রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন। তিনি ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট এবং জাতীয় পার্টির নুর আলম মিয়া পেয়েছেন ৯ হাজার ১৬ ভোট।
রাঙ্গামাটিতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। তিনি ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাংস্কৃতিক জোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী অমর কুমার দে। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৫ ভোট। তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৩ ভোট।
খাগড়াছড়ি আসনে বেসরকারি ফলাফলে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯’শ ৩৮ ভোট।
বান্দরবান আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈ শিং। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৭২ হাজার ২৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের এ টি এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ ৫১ লাখ ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২৫৮ ভোট।
নাটোর-২ (নাটোর সদর- নলডাঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ আলী সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৫টি ভোট।
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২টি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম শফিক পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭টি ভোট।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২টি এবং ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮টি ভোট।
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নান নৌকা প্রতীকে ৫১ হাজার ৫৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদী আলম লিপি তবলা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৪ ভোট।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জয় পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। তিনি ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২০৩ ভোট।
বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনটিও জাতীয় পার্টিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ওই আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী ছিলেন। সেখানে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রার্থী নূরুল ইসলাম তালুকদার পরাজিত হয়েছেন। ৬৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ আল মেহেদী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার সরকার কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮১৫ ভোট।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। তিনি ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন। তিনি বিএনপির বৃহিষ্কৃত নেতা ও দলটির সাবেক এমপি। এ আসনে ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্য জোটের নজরুল ইসলাম মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১০৫ ভোট।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি ৫৩ হাজার ২২৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৪০ ভোট।
বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু নৌকা প্রতীকে ৯১ হাজার ২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এ টি এম আমিনুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮০১ ভোট।
নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোশতাক আহমেদ রুহী নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ওরফে ঝুমা তালুকদার (ট্রাক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ২১৯ ভোট।
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে নৌকার প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয় (ঈগল) পেয়েছেন ৮৬ হাজার ২৮৭ ভোট।
নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত অসীম কুমার উকিল পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।
নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী খান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৪০ ভোট।
নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আহমদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৪৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাজহারুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ২১৪ ভোট।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুর মোহাম্মদ নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এস এম আবু সায়েম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০ ভোট।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম শাহিনুজ্জামান কাঁচি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মির্জা আজম নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মীর শামছুল আলম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র তেজগাঁও কলেজের প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট।
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ১৫ হাজার ৮৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।
রাজবাড়ী-১ আসনে জয়ী হয়েছেন (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী। তিনি ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (ট্রাক) প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক বিশ্বাস। তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩২ ভোট।
রাজবাড়ী-২ আসনে জয়ী হয়েছেন (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (ঈগল) প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী হক। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৬৬ ভোট।
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল পেয়েছেন ৫১ হাজার ৫৬৭ ভোট।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের কাছে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এই আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৯ হাজার ৭৩৫ ভোট ।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণু পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৭২৬ ভোট।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। তিনি পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই। তিনি ৯৪৩৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের নজরুল ইসলাম (দুলাল) পেয়েছেন ৮০৫৪৭ ভোট। আসনটিতে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১৭টি আর ভোটার সংখ্যা ছিল ৩০৬৩৩৬ জন। আসনটিতে ভোট পড়েছে ৫৮.২৭%।
ঝিনাইদহ-২ (হরিনাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তিনি ১৩৬৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম সিদ্দিকী পেয়েছেন ১১৬২০৭ ভোট। আসনটিতে কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ১৮৫টি আর ভোটার ছিল ৪৭৬৩০০ জন। এখানে ভোট পড়েছে ৫৫.৩৬ %।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজী। তিনি ৮৩০১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের এ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন পেয়েছেন ৬৪৯০৯ ভোট। আসনটিতে কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ১৬৬টি আর ভোটার ছিল ৪০৩২২৪ জন। এখানে ভোট পড়েছে ৩৮.৮৩ %।
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম। তিনি ৯৫৯০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের আব্দুর রশিদ খোকন পেয়েছেন ৫৭১৯৪ ভোট। আসনটিতে ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ১১৭ টি আর ভোটার ছিল ৩১৫৬২০ জন। এখানে ভোট পড়েছে ৫১.২১ %।
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও তিতাস) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরকে। তিনি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোট।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ। তিনি ৪৪ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ। তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৫৩ ভোট।
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঈগল প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৯ শত ৫৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি ৯৬ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৮৭ ভোট।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের প্রার্থী এম এ জাহের। তিনি ৬৫ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫২২ ভোট।
কুমিল্লা-৬ আসনে (আদর্শ সদর) বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি ১ লাখ ৩২ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৬৬ ভোট।
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুনতাকিম আশরাফ টিটু। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট।
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। তিনি ২ লাখ ৭২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম ইরফান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২১ ভোট।
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট।
কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি ২ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জোনাকী হুমায়ুন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৭ ভোট।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মুজিবুল হক। তিনি ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৭০০ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা মাত্র মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি এক লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ২৫৬ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে শামীম ওসমান টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসামন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে সেলিম ওসমান টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী এ এম এম একরামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট।
বরিশাল-১ আসনে ১২৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আম প্রতীকের ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. তুহিন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২১৮ ভোট।
বরিশাল-২ (উজিরপুর ও বানারীপাড়া) আসনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। নৌকা প্রতীকে মেনন পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট। শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বরিশাল-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনি ৫১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ১২৩ ভোট।
বরিশাল-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পঙ্কজ দেব নাথ। তিনি ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৫ ভোট।
বরিশাল-৫ আসনে ১৭৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কর্নেল অব জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট।
বরিশাল-৬ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর হাফিজ মল্লিক। তিনি ৬০ হাজার ১০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের শামসুল আলম চুন্নু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট।
পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরূপকাঠী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ জয়ী হয়েছেন। তিনি ঈগল প্রতীকে ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি-জেপির প্রধান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট।
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৪ ভোট।
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট।
মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীরেন শিকদার নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মুরাদ আলী লাঙ্গল প্রতীকে ১৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৯২ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৫৪ হাজার ৩১৫ ভোট পেয়েছেন।
নড়াইল-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১ ভোট।
পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট। ১২৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ময়মনসিংহ-৮ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন। তিনি ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ফখরুল ইমান। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ফাহমী গোলন্দাজ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন সাত হাজার ৫১৯ ভোট।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) সংসদীয় আসন থেকে টানা ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪১৭৮ ভোট।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর – ভূঞাপুর ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির নৌকা প্রতীকে ১ লাক্ষ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম ঠান্ডু স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০হাজার ৪৮৬ ভোট।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে আমানুর রহমান খান রানা ৮২ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের ডা. কামরুল হাসান পেয়েছেন ৬৯ হাজার ০৩৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ট্রাক প্রতীকে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মোজাহারুল ইসলাম ঠান্ডু পেয়েছেন ৫৪ হাজার ০৭৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন, ঈগল প্রতীক নিয়ে ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাক্ষ ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তারেক শামস্ খান হিমু ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৯২ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু স্বতন্ত্রে ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়, নৌকা প্রতীকে ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম গামছা মার্কায় পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাকারিয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে মনোরঞ্জন শীল গোপাল পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট।
দিনাজপুর-২ (বোচাগঞ্জ-বিরল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৯১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার চৌধুরী জীবন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৫৯ ভোট।
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ ইকবালুর রহিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট।
দিনাজপুর-৪ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহদুদ আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট।
দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর- ফুলবাড়ী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী বেলাল ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট।
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর-হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শিবলী সাদিক পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।
ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান এক লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন (ঈগল) পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট। এ আসনে ৩৮ হাজার ৩৪২ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রহমান।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীন প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু ৮৭ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থীর স্বতন্ত্র প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া (ঈগল) পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট। এ আসনে এক হাজার ৯৬২ ভোটের ব্যবধানে শাহদাব আকবর নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদ। তিনি পেয়েছেন ১,৩৪,০৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫,০৮৯ ভোট।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন তৃতীয়বারের মত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে হ্যাটট্রিক করেছেন। এবার ঈগল প্রতীকে নিক্সন পেয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট ভোট।
শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৮ভোট।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮২৭ ভোট।
শরীয়তপুর-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিম রাজ্জাক। তিনি ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকের মো. আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৯ ভোট।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির শাহজাহান আলী চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৩ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান। তিনি ২৭ হাজার ৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪০৩ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৮ ভোট। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নয়নের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী ১২ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু। তিনি ৫২ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ সাত্তার। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ। তিনি ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সৈয়দ দীদার বখত পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫৩ ভোট।
সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আলিপ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৩ ভোট।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।
ফেনীর তিনটি আসনে বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ফেনী-১ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তিনি ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবাল। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৯৫ ভোট। ফেনী-১ আসনে ১৪টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৬ জন। আসনটির ১১৫ ভোটকেন্দ্রের ৭৭৯ ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
ফেনী-২ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল করিম ফারুক। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ ভোট। ফেনী-২ আসনে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৭৭ জন। আসনটির ১৪০ ভোট কেন্দ্রের ৮২৭ ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
ফেনী-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্লাহ। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট। জানা গেছে, তিনি দুপুরের পর অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন। ফেনী-৩ আসনে ১৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জন। আসনটির ১৪৪ ভোটকেন্দ্রের ৯৮৮ ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মোট ১৭০টি ভোটকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট।
মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ১৩০টি ভোটকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট।
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৬৯টি। আসনটিতে গত দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের মসনদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ফয়সাল বিপ্লব। প্রাপ্ত ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের ফয়সাল বিপ্লব ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আফিল উদ্দিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনাপোলের সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। এই আসনের অপর প্রার্থী জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৫১ ভোট।
যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের অ্যাডভাকেট মনিরুল ইসলাম মনির পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট।
যশোর-৩ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এনামুল হক বাবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির জহুরুল হক লাঙ্গল প্রতীকে ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিৎ কুমার রায় ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮৬ ভোট।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ঈগল প্রতীকে নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৪৬৮ ভোট।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আমির হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২০৯ ভোট।
পাবনা-১ আসনে মোট ১২৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৭২ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন। ২০ হাজার ৯৫৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ১০৮টি কেন্দ্রের মোট ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম’র নোঙর প্রতীকের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।
পাবনা-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১৭৬টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৫৯ ভোট।
পাবনা-৪ আসনে মোট ১২৯ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট। নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স পেয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল কাদের খান কদর পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬৬ ভোট, তৃণমূল বিএনপির আফজাল হোসেন বটু সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫৯ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ আবু দাউদ আম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৪ ভোট।
পাবনা-১ আসনে মোট ১২৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৭২ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন। ২০ হাজার ৯৫৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ১০৮টি কেন্দ্রের মোট ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম’র নোঙর প্রতীকের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।
পাবনা-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১৭৬টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৫৯ ভোট।
পাবনা-৪ আসনে মোট ১২৯ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট। নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স পেয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল কাদের খান কদর পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬৬ ভোট, তৃণমূল বিএনপির আফজাল হোসেন বটু সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫৯ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ আবু দাউদ আম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৪ ভোট।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জয়ী হয়েছেন ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর। তিনি ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ১৭১ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট।
শেরপুর-১ (সদর) আসনে মোট ১৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোষিত ১৪৩ কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট। এছাড়া লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩০৭ ভোট। এ আসনের মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে মোট ১৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেগম মতিয়া চৌধুরী ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মতো জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৪২ ভোট। এছাড়া জাসদ প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাজাহান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৬ ভোট।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে মোট ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহীদুল ইসলাম ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৮ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল আহসান পেয়েছেন ২ হাজার ৫৮০ ভোট।
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে মোট ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাহমুদুল হক সায়েম ট্রাক প্রতীকে ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুয়েল আরেং নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৮৯২ ভোট।
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে মোট ১৭৪ ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে শরীফ আহমেদ নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৬০ হাজার ৪৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ শহীদ সারোয়ার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ১৫ ভোট।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে মোট কেন্দ্র ৯২টি। সেখানে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এ আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মোট ১৭৭টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রাপ্ত ফলাফলে মোহিত উর রহমান শান্ত নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল হক শামীম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৪৬ ভোট।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে মোট ১০৪টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৮ ভোট।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে মোট ১২১টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে আবদুল মালেক সরকার ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোসলেম উদ্দিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৫৮ ভোট।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে মোট ১২০টি ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ ট্রাক প্রতীকে ৭১ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫৩১ ভোট।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মোট ৯২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাহমুদ হাসান সুমন ঈগল প্রতীকে ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফখরুল ইমাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে মোট ১২১টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম নৌকা প্রতীকে ৮০ হাজার ৭৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও-পাগলা) আসনে মোট ১১১টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে ১১১ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৯ ভোট।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে মোট ১০৫টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে এমএ ওয়াহেদ ট্রাক প্রতীকে ৯৫ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪২০ ভোট।
গাজীপুর-১ আসনে ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রাসেল। তার ভোট ৯২ হাজার ৭৮৮।
গাজীপুর-২ আসনে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট।
গাজীপুর-৩ আসন থেকে বেসরকারিভাবে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের রুমানা আলী টুসি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৭৪।
গাজীপুর-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ঈগল প্রতীকের মো. আলম হোসেন, তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট।
গাজীপুর-৫ আসনে ৮২ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস আখতারউজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৩ ভোট।
নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৯২ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৫৪ হাজার ৩১৫ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ৫৬ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ.এন.এম রফিকুল আলম সেলিম ৩ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ৫৬ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান ৪৫ হাজার ১১৫ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ৭৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু ৬৯ হাজার ৬২০ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ১ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী ৬৪ হাজার ৭৭ ভোট পেয়েছেন।
Leave a Reply