স্পোর্টস ডেস্ক : নারী ফুটবলারদের নিয়ে বাফুফের টনক নড়েছে পাবর্ত্য অঞ্চল নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করার। বাংলাদেশ নারী ফুটবলের সিনিয়র-জুনিয়র উভয় দলে রয়েছেন পাবর্ত্য অঞ্চলের একাধিক ফুটবলার। গত কয়েক বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গন দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তারা। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সামাজিক প্রকল্পের আওতায় বাফুফে পাবর্ত্য তিন অঞ্চলের নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোমবার মহিলা ফুটবল কমিটির সভায়। ইতোমধ্যে বাফুফে এই খাতে অর্থ পেয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসে বান্দরবানে পাঁচ দিনের একটি কর্মসূচি করবে। পাবর্ত্য অঞ্চলের যেকোনো নাগরিক (বাঙালি কিংবা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সকলের জন্য উন্মুক্ত) এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
প্রথম দিন তিন জেলার স্থানীয় কোচদের প্রাথমিক জ্ঞান দেয়া হবে। এরপর আগ্রহী ফুটবলারদের সেই কোচরা অনুশীলন করাবেন। এরপর দুই দিন সেই ফুটবলাররা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলবেন। সেখান থেকে ১৫ জন বাছাই করবে ফেডারেশন। এই ১৫ জনের এক বছরের পড়াশোনার ব্যয় বহন করবে ফুটবল ফেডারেশন। এদের মান অত্যন্ত ভালো হলে বাফুফের ক্যাম্পেও আসতে পারে। সামাজিক কর্মসূচি ছাড়াও আসন্ন সাফ অনূর্ধ্ব-১৬, ১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় বেশির ভাগ সময় বাজেট নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। বাজেটের বেশ কিছু বিষয়ে কমিটির অনেকে আপত্তি তুলেছেন। নারী ফুটবল কমিটিতে এরকম চিত্র আগে তেমন ছিল না।জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর চুক্তি শেষ হয়েছিল সাইফুল বারী টিটুর। বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, বিদেশি কোচ চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি অনুশীলন চালিয়ে যাবেন।
Leave a Reply