স্টাফ রিপোর্টার : পিঠা পুলি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ অংশ বলে মন্তব্য করলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব।এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বেলুন উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ ড.দিল আফরোজা, সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নাসিম সহ অতিথিগণ পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন এবং পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন। সাভার কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ছাড়াও আশেপাশের সাধারণ মানুষ এই উৎসব উপভোগ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাভার সরকারী কলেজ মাঠপ্রাঙ্গনে বাহারি নামে ও দেশীয় সাজসজ্জা আর হরেক রকমের পিঠা-পুলি নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি স্টল। বেলুন, প্ল্যাকার্ড আর ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নানা নামের বাহারী সাজের সুস্বাদু কয়েক রকম পিঠা নিয়ে হাজির হয় উৎসবে। পিঠা উৎসবকে ঘিরে সকাল থেকেই কলেজ মাঠ প্রাঙ্গন কানায় কানায় ভরে যায় পিঠা প্রেমিতে। স্টলগুলোতে পিঠার মধ্যে ছিল ভাপা, পুলি, পাটিসাপটা, দুধচিতই, নকশি পিঠা, গোলাপ পিঠা ও জামাই পিঠার মত বাহারি নামের পিঠা। শিক্ষার্থীদের বৈচিত্রময় উপস্থাপনায় কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে উৎসবস্থল। সারাদিনব্যাপী পরিবেশন করা হয় লোক সঙ্গীত, নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাঙালি সংস্কৃতি ও এতিহ্য লালনের চেতনা তৈরি করতে সাভার সরকারী কলেজে আয়োজন করা হয় শীতকালীন পিঠা উৎসব।১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার পিঠাপুলি উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন,এটা বাঙ্গালীর এককটা ঐতিহ্য এই উৎসবের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজম্ম যেন বাংলার পুরানো দিনের সংকৃতি ধরে রাখতে পারে সেই ম্যাসেজ দেয়া।তবে শিক্ষার্থীদের দাবি চলমান পিঠা উৎসব যেন প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয়। পিঠা মেলায় ১২টি বিভাগে ৩৬ টি স্টলে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।এ সময় পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি মঞ্জুর আলম রাজীব বলেন, পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন এর মাধ্যমে যারা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তারা বাঙ্গালির পুরানো দিনের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। সমাজের হারানো অতীতকে খুজে পাবে।
Leave a Reply