স্টাফ রিপোর্টার : বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগর সভাপতি সাইফুল ইসলামের নির্দেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
রবিবার বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার বনগাঁওয়ের কোটাপাড়া এলাকার নুর হোসেনের ছেলে বাহার (৩৮) উদ্দিন এবং নিকরাইলের আওয়াল আমিন (৫৫)।
মারধরের শিকার আওয়াল আমিন জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ মোল্লার সাথে বনগাঁও ইউনিয়নের ৪’শতাধিক আওয়ামী লীগের কর্ম-সমর্থক নৌকা নিয়ে সাভারের নীলা বর্ষা পার্কে আনন্দ ভ্রমনে যাই। গত ইউপি নির্বাচনে আওলাদ হোসেন মোল্লার সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে জোড়পূর্বক জয়লাভ করে। এরই জের ধরে এতে বেজায় ক্ষিপ্ত হয় বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যার ও আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। দুপুরে আমি আমিনবাজার থেকে বাড়ী নিকরাইলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌছামাত্র সাইফুল ইসলামের নির্দেশনানুযায়ী বখাটে রাসেল, সুজন, আরিফুল, ফরিদসহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজন যুবক আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা আমি কেন আওলাদ মোল্লার সাথে নৌকা ভ্রমনে গিয়েছি তার কথা জানতে চেয়ে আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমি জানতে পেরেছি সকালে বাহার নামের আরও একজন যুবককে একই অপরাধে মারধর করেছে চেয়ারম্যানের লোকজন।
আওলাদ হোসেন মোল্লা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি জয়লাভ করলেও জোড় করে আমার জয় ছিনিয়ে নেয় সাইফুল ও তার সহযোগীরা। এর পর থেকেই সে আমর উপর অনেকটা ক্ষিপ্ত। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও কোন কাজেই সে আমাকে সম্পৃক্ত করেন না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নৌকা ভ্রমনের আয়োজন করেছিলাম। এতে যারা যারা আমার সাতে নৌকা ভ্রমনে গিয়েছিল তাদেরকেই চেয়ারম্যানের লোকজন ধরে ধরে মারছে। এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানাসহ নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বনগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন।
Leave a Reply