স্টাফ রিপোর্টার : বনগাঁওয়ে নৌকা ভ্রমনকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। গত ৩দিনে অন্তত ৭জনকে ধারালো অস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের। ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ এলাকায় টহল ব্যাবস্থা জোড়দার করেছে। এমন ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
সাভারের বনগাঁওয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরীর জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে দায়ী করেছেন বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা।
আওলাদ হোসেন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর সাভারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একত্রিত করা হয়েছিল সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য। অনিবার্য কারনবশত প্রধানমন্ত্রীর সফর স্থগিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের আবদারের প্রেক্ষিতে শনিবার দিনব্যাপী তাদের নিয়ে ৯টি নৌকা নিয়ে সাভারের বংশী নদীর তীরবর্তী নীলা বর্ষা পার্কে আনন্দ ভ্রমনের আয়োজন করি। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপণার মধ্য দিয়ে দিনটি উপভোগ করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। আমার সঙ্গে নৌকা ভ্রমনে যাওয়ার অপরাধে পরদিন রবিবার সকালে বনগাঁওয়ের কোটা পাড়া এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী বাহারকে ব্যাপক মারধর করে সাইফুল ইসলামের লোকজন। এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে উপস্থিত সকালের সামনেই চেয়ারম্যান তার নির্দেশেই মারধর করা হয়েছে বলে হুঙ্কার দেন। এরপর দুপুর আওয়াল আমিন নামের নিকরাইল এলাকার আওয়ামী লীগের আরও এক সমর্থক বাড়ী ফেরার পথে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চেয়ারম্যান সাইফুলের লোকজন বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনা আমি সাভার মডেল থানাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবহিত করলে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের আরও এক সমর্থক তানভীর ও রমজান আলীকে ব্যাপক মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিন বিকেলে বনগাঁওয়ের আমার বাড়ীসহ আমার মামার বাড়ীর সামনে ফাকা গুলি ছুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। মঙ্গলবার সকালে আমার সমর্থক হওয়ার অপরাধে বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ষাটোর্ধ হান্নান মিয়াকে ব্যাপক মারধর করে। তিনি চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে চাইলেও তাকে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
তবে এসময় অভিযোগ অস্বীকার করে বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আওলাদের লোকজনই আমার গাড়ীর উপর হামলা করে আমার লোকজনকে মারধর করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এলাকায় মারামারির কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্স। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply