অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের রাজধানী হানোইয়ে একটি নয় তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি (ভিএনএ)।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভবনটিতে আগুন লাগে। তবে স্থানীয় সময় রাত ২টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ভিএনএ আরও জানিয়েছে, ভবনটিতে ১৫০ জন মানুষের বসবাস ছিল। এরমধ্যে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো হতাহতের খবর জানানো হয়নি।
ওই ভবনটি এমনভাবে তৈরি যে দুর্ঘটনার পর সেখানে থেকে সহজে কেউ বেরও হতে পারবে না। গত বছর দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র হো চি মিন শহরের একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৩২ জন প্রাণ হারায়। ওই দুর্ঘটনায় আরও ১৭ জন আহত হয়। সে সময় অগ্নি-প্রতিরোধ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ভবনের মালিককে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ভবনটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেটির বাসিন্দারা বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে যারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন, তারা চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি। কারণ ভবনটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য মাত্র একটি দরজাই ছিল। এটির জানালাগুলো লোহার গ্রিল দিয়ে আটকানো ছিল এবং ভবনটিতে কোনো জরুরি বহির্গমন দরজা ছিল না।
যে ভবনে আগুন লেগেছে সেখানকার এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘সাহায্য চাওয়া অনেক মানুষের চিৎকার শুনতে পাই। কিন্তু আমরা তাদের খুব বেশি সাহায্য করতে পারিনি। ভবনটি এতটাই বদ্ধ ছিল যে, বের হওয়ার কোনো রাস্তাই ছিল না। হতাহতদের বের হয়ে আসার কোনো সুযোগ ছিল না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, তখনই পোড়া গন্ধ পাই। বাইরে বের হয়ে আমি আগুন দেখতে পাই।’
এই নারী আরও বলেছেন, ‘সব জায়গায় ধোঁয়া ছিল। উঁচু একটি তলা থেকে একটি শিশুকে নিচে ছুড়ে দেওয়া হয়। আমি জানি না ওই শিশুটি বেঁচে আছে কি না। যদিও অনেকে ম্যাট্রেস দিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করেন।’ টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ফায়ার ফাইটাররা সিঁড়ি এবং হোস পাইপ নিয়ে এসেছেন। ওই সময় ভবন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছিল।
Leave a Reply