স্টাফ রিপোর্টার : সাভার পৌর এলাকার দক্ষিন রাজাশনের ঘাষমহলে দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর এর উপস্থিততে পৌরসভার ঘাসমহলের আল বেদা বাইতুল নুর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়৷ পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মৃত ব্যক্তি মোঃ জামাল সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। তিনি পেশায় তেল-মোবিল ও খামার ব্যবাসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্তরা হলো- ফোরকান হাকিম, লোকমান হাকিম, গোফরান হাকিম ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ।
নিহতের ভাই ইমরান গোলদারের দাবী, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাদের বাড়ির পাশেই ফোরকান হাকিমের বাসায় তার ভাইকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে তার কাছে ফোন আসে তার ভাই অসুস্থ হয়ে গেছে।
পরে সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান তার ভাই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে, তার মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন। এরইমধ্যে অভিযুক্তের বাড়ির লোকজন বলে তার ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে ও পড়ে গিয়ে মাথা ও পায়ে আঘাত পেয়েছে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায়।
সে সময় পরিস্থিতি না বুঝেই তার ভাইকে দাফন করা হয়। পরে অভিযুক্তের বাড়িতে তালাবদ্ধ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়। পরে আবেদন আমলে নিয়ে আদালত মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশনা দেয়।
মামলা’র তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের উপস্থিততে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আদালতের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply