স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভার উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কয়েক দফায় গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের হাঙ্গাল এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাইফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে সভাপতি সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা দফায় দফায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে।
হামলায় আহত আওলাদ হোসেনে সমর্থকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা রমজান আলী, তানভীরসহ কয়েকজনকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার আহত রমজান আলী বলেন, আমি ব্যংকে থেকে টাকা তুলে বাড়ী যাওয়ার সময় আমার উপর হামলা চালায়। এসময় আমার কাছে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
আওলাদ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন হাঙ্গাল এলাকায় আমার সহযোগী রমজান আলীসহ কয়েকজনের উপর হামলা করে ব্যাপক মারধর করেছে। রমজান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তবে আমরা কারো উপর হামলা করিনি। তিনি আরও বলেন, বিকাল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলামের লোকজন ৫০/৬০টা মটরসাইকেল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে ফাঁকা গুলি বর্ষক করে। পরে আমাকে বাড়িতে না পেয়ে বলিয়ারপুর এলাকায় মামা হাসেন মেম্বারের বাড়িতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতাই ভুগছি বলেন তিনি।
হামলায় ভাংচুরকৃত অটোরিক্সা চালক মো: পারভেজ বলেন, আমি গরিব মানুষ অটোরিক্সা চালিয়ে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেই। আমিতো কারো পক্ষের লোক না তাহলে কেন আমার অটোরিক্সা ভাংচুর করে আমাকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
তবে প্লাল্টা অভিযোগ করে
বনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমার উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনি সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply