1. ssexpressit@gmail.com : dailysangbad :
  2. journalistrupok@gmail.com : Rupokur Rahman : Rupokur Rahman
  3. sr42692@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
সর্বশেষ :
সাভারের সাধাপুরে সন্ত্রাসী সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ রাস্তা বন্ধ করার ১৮ বছর পর চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে উম্মুক্ত টিকটকার সাবেক স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার প্রবাসী, বাড়ি দখলের অভিযোগ আমিনবাজারে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন ইউ,পি চেয়ারম্যান রকিব আহমেদ সাভারে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদিকের উপর হামলা সাভারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী ইমতিয়াজ-মনিকা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনিকার সমর্থনে উঠান বৈঠক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাজেদ খানের সমর্থনে উঠান বৈঠক সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনসমর্থনে এগিয়ে মাজেদ খান

মুশফিকের নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে আউট, দুইশর আগেই শেষ টাইগাররা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৭৯ জন পড়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক : মুশফিকুর রহিম নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে আউট হয়েছেন অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে। মুশফিকের ওই এক আউট দিয়ে পুরো বাংলাদেশ ইনিংসের চিত্র চাইলে আঁকা যেতেই পারে। কেউ আউট হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। আবার কেউ ফিরে গিয়েছেন রিভার্স সুইপ খেলার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে। এমন খামখেয়ালিপনার দিনে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৭২ রানে। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার অবশ্য সেই মুশফিকই। করেছেন ৩৫ রান। আর কিউইদের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার আর গ্লেন ফিলিপস। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঘূর্ণিঝড় মিগজিউমের প্রভাবে এদিন শুরু থেকেই খেলা হয়েছিল ফ্লাডলাইটের আলোতে। শুরু থেকেই দুই ওপেনার রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিলেন মিচেল স্যান্টনার এবং এজাজ প্যাটেলের সুইং সামাল দিতে। বলা চলে বাতির নিচে অন্ধকার। ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে মিরপুর টেস্টে রীতিমত খাবি খেয়েছে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের সামনে। আরও স্পষ্ট করে বললে কিউইদের স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে। ইনিংসের প্রায় পুরোটা সময় কিউই স্পিনত্রয়ীর বিপক্ষে সংগ্রামই করে গিয়েছেন টাইগাররা।
যদিও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরগতির। খুব একটা তাড়াহুড়ো করেননি দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও শুরু থেকেই তাদের অস্বস্তি টের পাওয়া গিয়েছিল। একাধিকবার লেগ বিফোরের আবেদন এসেছে। রানআউটের সুযোগ ছিল। তবে কখনো ভাগ্য, আবার কখনো আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটি পার করে ১০ ওভার। অবশ্য এমন সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থই হয়েছেন দুই ওপেনার। ১১তম ওভারে অকারণে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেইন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দেন জাকির। আর ঠিক তার পরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা মাহমুদুল হাসান জয়। জাকির খেলেছেন ২৪ বলে ৮ রানের ছোট ইনিংস। সে তুলনায় জয় কিছুটা ধীরস্থির ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন ৪০ বলে করেছিলেন ১৪।
দুই আউটের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই চাপ আরও বেড়ে যায় টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের আউটে। এজাজ প্যাটেলের দিনের দ্বিতীয় শিকার তিনি। সুইং হয়ে ভেতরের দিকে আসা বলটা ইনসাইড এজ হয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেলের হাতে। ৪১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। এরপরেই আবার স্যান্টনারের আঘাত। অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরেই দলের প্রয়োজন বুঝে ব্যাট করেছেন মুশফিক এবং দীপু। টানা চার ওভার কোনপ্রকার রান না নিয়েই পার করে বাংলাদেশ। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে নিজেদের খোলস থেকে বের করে এনেছেন দুজনেই। ৭৮ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন লাঞ্চে। লাঞ্চের পরেও কিছুটা সময় ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার।
দলীয় ১০৪ রানে আবার উইকেটের পতন। এবার মুশফিকের নিজের ভুলেই হলেন অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড আউট। কাইল জেমিসনের বল সলিড ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। এরপর অহেতুক বলটি ডান হাত দিয়ে ধরে ফেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা এতে ‘অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন আউট হলেন মুশফিক।
মুশফিকের পর অপ্রয়োজনীয় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন শাহাদাত দিপু এবং নুরুল হাসান সোহান। ওয়াইড হতে যাওয়া বলে অহেতুক খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন দিপু। আর বল আকাশে তুলতে চেয়ে ফিল্ডারের তালুতে ক্যাচ দিয়েছিলেন সোহান। শেষ ভরসা ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যাচ দিয়েছেন তিনিও। স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার ছিলেন মিরাজ। ১৪৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সিরিজ শুরুর আগেই নিজের বোলিং নিয়ে আশাবাদী ছিলেন গ্লেন ফিলিপস। সিলেটেও পেয়েছিলেন উইকেটের দেখা। এবার ঢাকা টেস্টেও পেলেন তিন উইকেট। তাইজুলকে নিজের তৃতীয় শিকার করেছেন দলীয় ১৫৪ রানে। আর শেষ উইকেট হিসেবে শরিফুল ইসলাম আউট হয়েছেন টিম সাউদির বলে। পুরো ইনিংসে এই একটি উইকেটই গিয়েছে পেসারদের দখলে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ